প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

হোপ ফাউন্ডেশনের ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ- এর উদ্যোগে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৮ উৎযাপিত হয়েছে। এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘মায়ের দুধপান: সুস্থ জীবনের বুনিয়াদ’। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহকে সফল করতেই হোপ ফাউন্ডেশনের ‘ডেভলপিং মিডওয়াইভস্ প্রোজেক্ট’ এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। মিডওয়াইফারী ছাত্রীদের এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। চেইন্দা, মিঠাছড়ি এলাকা ও এর আশেপাশের কমিউনিটির মায়েরা এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

মায়ের দুধের বিকল্প নেই। প্রতিটি শিশুর জন্মের পরপরই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং শিশুকে ২ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতেই হোপ ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। হোপ ফাউন্ডেশনের মিডওয়াইফরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরাও আশেপাশের কমিউনিটির মায়েদেরকে এই বিষয়ে সচেতন করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হোপ হসপিটালে আগত মায়েরা যাতে বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হসপিটালের অভ্যন্তরে একটি সু-সজ্জিত ব্রেষ্ট ফিডিং কর্নার রয়েছে।

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৮ উৎযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মিছবাহ উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রামু।

তিনি তার বক্তব্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বিশেষকরে শাঁলদুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে অত্যাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। শাঁলদুধে ৯৭% পুষ্টির কথাও তিনি উল্লেখ করেন এবং বলেন, এতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এই সচেতনতা কার্যক্রমে মিডওয়াইফদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ আরো করেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, হোপ ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম বিভাগের একমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ডিপ্লোমা কোর্সটি ২০১২ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে, যার অর্থায়ন করছে ডিএফআইডি।

আরো বক্তব্য রাখেন ডেভলপিং মিডওয়াইভস্ প্রোজেক্টের ফ্যাকাল্টি ডাঃ মোঃ শরিফুল কবির শাহীন, ডাঃ তারিকুল ইসলাম, দিল শানাতা রানু, সহকারী প্রোজেক্ট ম্যানেজার ইয়াসমিন আকতার। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন হোপ ফাউন্ডেশনের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)  কে এম জাহিদুজ্জামান।